In Class 12, the study of Bhagavad Gita focuses on its key philosophical teachings, with emphasis on the concepts of Svadharma, Niskama-Karma, and Loksamgraha. These principles provide a framework for living a righteous life, fulfilling one's duties, and contributing to the welfare of the world. Below is an overview of how these concepts are explored in the course:
Svadharma (One’s Own Duty):
Niskama-Karma (Selfless Action):
Loksamgraha (Welfare of the World):
দ্বাদশ শ্রেণিতে, ভগবদ গীতা অধ্যয়ন স্বধর্ম, নিস্কাম-কর্ম এবং লোকসংগ্রহের ধারণাগুলির উপর জোর দিয়ে এর মূল দার্শনিক শিক্ষার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এই নীতিগুলি ধার্মিক জীবনযাপন, নিজের কর্তব্য পালন এবং বিশ্বের কল্যাণে অবদান রাখার জন্য একটি কাঠামো প্রদান করে। কোর্সে এই ধারণাগুলি কীভাবে অন্বেষণ করা হয় তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ নীচে দেওয়া হলঃ
স্বধর্ম (নিজের কর্তব্য)
ধারণাঃ স্বধর্ম হল ব্যক্তিগত কর্তব্য যা প্রতিটি ব্যক্তিকে অবশ্যই তাদের প্রকৃতি (প্রকৃতি) ক্ষমতা এবং সামাজিক ভূমিকা (বর্ণ) এর উপর ভিত্তি করে অনুসরণ করতে হবে। এটি অন্যদের সাথে তুলনা না করে জীবনে নিজের দায়িত্ব অনুযায়ী নিজের দায়িত্ব পালনের গুরুত্বকে তুলে ধরে।
মূল বিষয়গুলোঃ
অর্জুনকে একজন যোদ্ধা হিসাবে তার দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়, এমনকি ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হলেও, কারণ এটি তার ন্যায্য কর্তব্য।
একজনের স্বধর্ম সম্পাদন আধ্যাত্মিক পরিপূর্ণতার দিকে পরিচালিত করে এবং সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখে।
গীতায় জোর দেওয়া হয়েছে যে, নিজের কর্তব্যকে অবহেলা করা বিশৃঙ্খলা ও ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে।
প্রয়োগঃ এটি শিক্ষার্থীদের একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যে অবদান রাখার মাধ্যম হিসাবে একাডেমিক, পরিবার বা সমাজে তাদের ব্যক্তিগত দায়িত্বগুলি অনুসরণ করার গুরুত্ব শেখায়।
নিষ্কাম-কর্ম (নিঃস্বার্থ কর্ম)
ধারণাঃ নিষ্কাম-কর্ম হল ফলাফলের সাথে সংযুক্ত না হয়ে কর্ম সম্পাদন করার নীতি। এটি একজনের কর্মের ফল থেকে বিচ্ছিন্নতার উপর জোর দেয় এবং কর্মের পিছনের উদ্দেশ্যের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
মূল বিষয়গুলোঃ
কৃষ্ণ অর্জুনকে ব্যক্তিগত লাভের কোনও ইচ্ছা ছাড়াই তাঁর কর্তব্য (কর্ম) অনুযায়ী কাজ করতে উৎসাহিত করেন। কর্মের ফলাফল যেমন আসে তেমন গ্রহণ করা উচিত।
নিঃস্বার্থ কর্ম মনকে শুদ্ধ করে, অহংকার হ্রাস করে এবং মুক্তির দিকে পরিচালিত করে (মোক্ষ)
স্বার্থপর আকাঙ্ক্ষা ছাড়াই কাজ করে ব্যক্তিরা অভ্যন্তরীণ শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারে।
প্রয়োগঃ এই নীতিটি শিক্ষার্থীদের ফলাফল সম্পর্কে অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন না হয়ে তারা যা কিছু করে তাতে তাদের সর্বোত্তম প্রচেষ্টা করার দিকে মনোনিবেশ করতে উত্সাহিত করে। এটি জীবনের প্রতি ভারসাম্যপূর্ণ এবং শান্তিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিকে উৎসাহিত করে।
লোকসংগ্রহ (বিশ্ব কল্যাণ)
ধারণাঃ লোকসংগ্রহ বলতে সমাজের সমষ্টিগত কল্যাণ ও সম্প্রীতির জন্য কাজ করার ধারণাকে বোঝায়। এটি নিশ্চিত করার বিষয়ে যে একজনের কর্ম কেবল ব্যক্তিগত লাভ নয়, বিশ্বের বৃহত্তর কল্যাণে অবদান রাখে।
মূল বিষয়গুলোঃ
কৃষ্ণ অর্জুনকে বলেন যে, তাঁর কাজগুলি যখন নিঃস্বার্থভাবে সম্পাদিত হয়, তখন তা সমগ্র সমাজকে উপকৃত করবে। অর্জুন তাঁর কর্তব্য পালন করে মহাজাগতিক ও সামাজিক শৃঙ্খলা (ধর্ম) বজায় রাখতে সহায়তা করবেন।
ব্যক্তিদের এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত যা শান্তি, সম্প্রীতি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রসার ঘটায়।
নেতা, ঋষি এবং শাসকরা এমনভাবে কাজ করবেন বলে আশা করা হয় যা সমগ্র বিশ্বকে উন্নীত করবে, অন্যদের অনুসরণ করার জন্য উদাহরণ স্থাপন করবে।
প্রয়োগঃ এটি শিক্ষার্থীদের তাদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনের বাইরে চিন্তা করতে এবং সম্প্রদায় ও বিশ্বের উপর তাদের কর্মের প্রভাব বিবেচনা করতে উৎসাহিত করে। এটি সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং বিশ্ব সচেতনতা বৃদ্ধি করে।
কোর্সের উদ্দেশ্যঃ
কোর্সটি শিক্ষার্থীদের বুঝতে সাহায্য করে যে প্রাচীন শিক্ষাগুলি কীভাবে আধুনিক জীবনে, বিশেষত দায়িত্ব, নৈতিকতা এবং সামাজিক সম্প্রীতির মতো ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
শিক্ষার্থীরা আধুনিক সমাজের প্রেক্ষাপটে এই শিক্ষাগুলির প্রাসঙ্গিকতা অন্বেষণ করবে, কীভাবে ব্যক্তিগত কর্ম, কর্তব্য এবং নিঃস্বার্থতা একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং সুরেলা বিশ্বে অবদান রাখতে পারে তা বুঝতে পারবে।
এটি ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব পরিচালনার অন্তর্দৃষ্টিও সরবরাহ করে, যেমনটি অর্জুনের দ্বিধায় দেখা যায় এবং ধর্মের (ধার্মিক কর্তব্য) উপর ভিত্তি করে কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় সে সম্পর্কে ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা প্রদান করে।